
নিউ ইয়র্ক, ২৮ সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট আমেরিকান বিনিয়োগকারী ইমরান খান। সাক্ষাতে তিনি বাংলাদেশের ফিনটেক, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক ব্যবসা খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অধ্যাপক ইউনূস তাঁকে দেশের দ্রুত বর্ধনশীল এসব সেক্টরে বিনিয়োগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আলেফ হোল্ডিং বোর্ডের চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের দারিদ্র্য দূরীভূত করার আজীবন মিশন দ্বারা তিনি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত এবং অনুভব করেন যে তাঁর স্বদেশে বিনিয়োগ করার এটাই সঠিক সময়।
ইমরান খান অধ্যাপক ইউনূসকে বলেন, “আমি আপনার কাজের একজন মহান ভক্ত। আপনি আমাদের সকলের জন্য একটি জাতীয় গর্ব।” তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য তাঁর আগ্রহের মূল কারণ হিসেবে অধ্যাপক ইউনূসের প্রভাবকে উল্লেখ করেন।
ইমরান খান জানান, গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগ আবহাওয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “সময় অনুকূল: নিয়ামক পরিবেশ আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।”
প্রোম অ্যাসেটের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ইমরান খান ফিনটেকের দ্রুত প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে বিশেষ উদ্যম প্রকাশ করেছেন। তিনি ইঙ্গিত দেন যে সঠিক সুযোগ পেলেই বিনিয়োগ করবেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি সীমান্ত বাজার, যেখানে নিম্নমানের ফিনটেক সুযোগ রয়েছে। এটির একটি বিশাল তরুণ জনসংখ্যা রয়েছে এবং বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রচুর।”
উল্লেখ্য, ইমরান খান জেপি মরগান এবং ক্রেডিট সুইসের একজন প্রাক্তন বিনিয়োগ ব্যাংকার। তিনি আলিবাবার রেকর্ড-ভাঙা আইপিওতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য এবং স্ন্যাপচ্যাটকে শূন্য থেকে ৭২৮ মিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত করার জন্য পরিচিত।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শীর্ষ মার্কিন বিনিয়োগকারীদের তাদের মোট বিনিয়োগের এক শতাংশ সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগের জন্য বরাদ্দ করার প্রস্তাব দেন, যাতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল নির্মাণ করা যায়। ইমরান খান এই পরামর্শটি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে এটি সমর্থন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
অধ্যাপক ইউনূস খান-কে আগামী মাসগুলোতে সুযোগ খোঁজার জন্য বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জবাবে খান জানান, তিনি অদূর ভবিষ্যতে একটি ভ্রমণের পরিকল্পনা করবেন।
সভায় এসডিজি সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।