ডেক্স রিপোর্ট, দেশী বার্তা।

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, আগামী বছরের জুনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের সভাপতির নির্বাচনে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে না।
বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। জাতিসংঘে প্রার্থিতা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মজার বিষয় হলো, এ নিয়ে আপনাদের যত আগ্রহ, ফিলিস্তিনে ততটা আগ্রহ নেই। ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। তবে আপনারা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।”
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, “আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের জুনে, এবং সেখানে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন পরস্পরের মুখোমুখি হবে না।”
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি পদে প্রার্থিতা বাংলাদেশ প্রায় চার বছর আগে ঘোষণা করেছিল। এ পদে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ হলো সাইপ্রাস। অনেক পরে ফিলিস্তিনও প্রার্থিতা ঘোষণা করে, তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কোনো যোগাযোগ করেনি।
এই নির্বাচনের জন্য দেশের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচার কার্যক্রম চলবে ২০২৬ সালের মে মাস পর্যন্ত। এ পদে বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে মনোনীত করা হয়েছে।
সাধারণ পরিষদের সভাপতির পদটি সাধারণত পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপ থেকে পালাক্রমে নির্বাচিত হয়। এবার পালা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের, যেখানে বাংলাদেশ, ফিলিস্তিন এবং সাইপ্রাস প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এর আগে ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিল বাংলাদেশ। এ দায়িত্ব পালন করেছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী।