
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন দু-দেশের সম্পর্কে নতুন উদ্যম তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা। তিনি আজ ঢাকার চীনা দূতাবাসে ড্রোন প্রশিক্ষণ উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ড্রোন এখন গল্প বলার একটি নতুন মাধ্যম এবং এটি প্রযুক্তি ও শিল্পের এক অসাধারণ সংমিশ্রণ। তিনি জানান, সম্প্রতি চীনের সহযোগিতায় প্রদর্শিত ছয়টি ড্রোনশো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা
সংস্কৃতি উপদেষ্টার আগ্রহেই এই ড্রোন প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে অংশ নিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চীনের সাংহাই ও গুয়াংজুতে যাবেন এবং সেখানে এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ নেবেন। প্রশিক্ষণের সম্পূর্ণ খরচ চীন বহন করবে।
উপদেষ্টা আরও জানান, অচিরেই চিত্রকর্ম সংরক্ষণে প্রশিক্ষণ নিতে ১৫ সদস্যের একটি দল চীন যাবে। তারা দেশে ফিরে দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের শিল্পকর্ম পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের কাজ করবে। এছাড়া, জাদুঘরের প্রসারের জন্য আরেকটি দলও চীন যাবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ঐতিহ্যবাহী ও নতুন মাধ্যমের প্রসার এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও চীনের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এসব ক্ষেত্রে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।