নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সহিংসতা সংক্রান্ত দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে আদালত। শনিবার সকাল ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। এর ফলে পাঁচটি মামলার মধ্যে তিনটিতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হলো।
আদালত পুলিশের এসআই জয়নাল আবেদিন জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় আইভীকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
আইভীর আইনজীবী এস এম সিদ্দিকুর রহমান জানান, “আইভী দলমত নির্বিশেষে জনপ্রিয় একজন সাবেক মেয়র। তিনি কখনো আন্দোলনে সরাসরি অংশ নেননি। তবুও তার বিরুদ্ধে সব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে, যাতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়া সহজ হয়।”
একটি মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ককটেল বিস্ফোরণে এক রিকশাচালক তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তার স্ত্রী আলেয়া আক্তার বাদী হয়ে আইভীসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করেন।
অন্য মামলার এজাহারে বলা হয়, একই দিনে সন্ধ্যায় শিমরাইল এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ককটেল বিস্ফোরণে হকার নাদিম গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। এ ঘটনায় নাদিমের বাবা দুলাল হোসেন বাদী হয়ে শামীম ওসমান, আজমেরী ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।