মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত কিংবা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে এখন থেকে তদন্ত কর্মকর্তারাও সরাসরি পদক্ষেপ নিতে পারবেন। এ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর কার্যপ্রণালি বিধিমালায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।
বৃহস্পতিবার জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংশোধিত এই বিধিমালা এখন থেকে কার্যকর হবে। এতে মোট ২৪টি বিধির পরিবর্তন আনা হয়েছে— যার মধ্যে পাঁচটি বিধি পুরোপুরি বিলুপ্ত ও ১৯টি বিধি আংশিক বা পুরোপুরি নতুনভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
সংশোধিত বিধি ৬-এ বলা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যদি কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ বা প্রমাণ থাকে, তবে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ, অনুসন্ধান এবং প্রয়োজন হলে অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন। পাশাপাশি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা গ্রহণ করার সুযোগও রাখা হয়েছে।
নতুনভাবে প্রতিস্থাপিত বিধি ৯(১)-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার দায়িত্ব এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রসিকিউটরের ওপরেও থাকবে।
এছাড়া, কেবল ব্যক্তিই নয়— ‘অভিযুক্ত’ হিসেবে এখন থেকে কোনো সংগঠনকেও অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের সময় চিফ প্রসিকিউটরকে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
এই সংশোধনী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সদস্য বিচারপতি এম মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের আদেশক্রমে জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন স্বাক্ষর করেছেন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ এস এম রুহুল ইমরান।