
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার ব্যাপক দুর্নীতির প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। তিনি বলেন, এই উপদেষ্টারা ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে নিয়োগ বা বদলি হয় না।
অবসরপ্রাপ্ত এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, কষ্টের বিষয় হলো, একজন উপদেষ্টার এপিএসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি প্রশ্ন করেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো কীভাবে এমন অনভিজ্ঞ উপদেষ্টাদের হাতে চালানো হয়?
তিনি আরো জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এক বছরে দুর্নীতি বেড়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, এক সহকারী কমিশনার ৩০ লাখ টাকা দাবী করেছেন একটি স্কুলের জমির নামজারির জন্য, আর ঢাকার আশপাশের একজন ইউএনও ২০ লাখ টাকা চেয়েছেন একটি কারখানার লে আউট পাশ করার জন্য।
আব্দুস সাত্তার বলেন, তিনি একটি রাজনৈতিক দলের অফিসে কাজ করেন যেখানে হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ভিড় করছেন। দলের চেয়ারপারসন তারেক রহমান তাকে নির্দেশ দিয়েছেন ইন-সার্ভিস কর্মকর্তাদের অফিসে প্রবেশ নিষেধ করার। তিনি অফিসের গেটে নোটিশ টাঙিয়েছেন, যাতে ইন-সার্ভিস কর্মকর্তারা অফিসে আসতে না পারেন।
তিনি উল্লেখ করেন, অন্তত আটজন উপদেষ্টার দুর্নীতির তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রয়েছে, তবে এখনো তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সেমিনারে অনেক শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন এবং বিগত সরকারের সময়ে প্রশাসনিক দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। তারা ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ না করার আহ্বান জানান।
সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা মুখ্যসচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।