
বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় গেলে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো হবে এবং ১ কোটি বেকারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আজ এই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এই পরিকল্পনাগুলো তাদের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জুলাই-পরবর্তী রাজনীতি ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথচলা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। সেমিনারটির আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন স্কুল অব লিডারশিপ।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে যে লড়াই শুরু হয়েছে, তা দেশের অগ্রগতির জন্য ভালো নয়। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কৃতিত্বের জন্য লড়াই করেননি, বরং নিজেদের কাজে ফিরে গিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বিপ্লবের পর যে সকল দেশ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে, তারাই সফল হয়েছে। শেখ হাসিনার পতনের এক বছর পরও দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা ছাড়া দেশের আর কোনো উপায় নেই। আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট দেওয়া ও ক্ষমতায় যাওয়া নয়, বরং দেশের প্রতিটি নাগরিকের ভোটাধিকার, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সঠিকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা।
আমীর খসরু বলেন, জনগণের মৌলিক অধিকার বঞ্চিত করে লোক দেখানো বড় বড় মেগা প্রজেক্টের কোনো প্রয়োজন নেই। মানুষের মৌলিক বিষয়গুলোর সমাধান করাই এখন জরুরি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্ররা যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলেছিল, তার বাস্তবায়ন এখনো দৃশ্যমান নয়। তবে বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতার পতন হয়েছে, কিন্তু তিনি পাশের দেশে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, গণভবনকে যে স্বৈরাচারের আঁতুড়ঘরে পরিণত করা হয়েছিল, আমাদের ছেলেরা তা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের রূপরেখা রয়েছে।