বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্বিতীয়বারের মতো স্থাপত্যের জন্য মর্যাদাপূর্ণ আগা খান পুরস্কার জেতার জন্য স্থপতি মেরিনা তাবাসুমকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই অর্জনকে তিনি “দুর্লভ ও ঐতিহাসিক” বলে উল্লেখ করেন, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “খুদি বাড়ি” নিয়ে মেরিনা তাবাসুমের উদ্ভাবনী কাজ স্থাপত্য যে কীভাবে মানবতাকে সেবা দিতে পারে, তার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং নদী ভাঙনে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য একটি সাশ্রয়ী ও বহনযোগ্য আবাসন সমাধান। ড. ইউনূস আরও বলেন যে, এই কাজের মাধ্যমে মেরিনা তাবাসুম বিশ্বকে দেখিয়েছেন যে নকশা কেবল সৌন্দর্য নয়, বরং মানুষের মর্যাদা ও স্থিতিস্থাপকতার বিষয়।
প্রধান উপদেষ্টা তার বার্তায় ২০১৬ সালে বায়তুর রউফ মসজিদের জন্য মেরিনা তাবাসুমের প্রথম আগা খান পুরস্কার প্রাপ্তির কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, সেই অর্জন ছিল বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠের উত্থান। তার সাম্প্রতিক অর্জন সেই সম্মানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
ড. ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, এই সম্মানের মাধ্যমে মেরিনা তাবাসুম বাংলাদেশকে আরও একবার সৃজনশীলতা ও সামাজিক উদ্ভাবনের বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে তিনি মেরিনা তাবাসুমের অসাধারণ অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যা প্রতিকূলতাকে সুযোগে রূপান্তরিত করতে এবং সহমর্মিতা ও স্থায়িত্বের সমাধান খুঁজে পেতে সকলকে অনুপ্রাণিত করে।
প্রধান উপদেষ্টা তার বার্তায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি এবং জুলাই বিদ্রোহ স্মৃতি জাদুঘরের প্রধান পরামর্শক হিসেবে মেরিনা তাবাসুমের অবদানেরও প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, তার কাজ বিশ্বজুড়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্থপতি ও পরিবর্তনকারীদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।