
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্টে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে তার ওপর ‘বর্বরোচিত হামলা’র অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই পোস্টে এই ঘটনাকে ‘অন্যান্যদের জন্যও একটি সিগন্যাল’ হিসেবে উল্লেখ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
প্রকাশিত পোস্টে দাবি করা হয়, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণার পর তাকে ফোনে ধমকানো হয় এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তার কার্যালয়ে ঢুকে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়, এমনকি কার্যালয়ের বাথরুম পর্যন্ত ভাঙচুর করে।
পোস্টটিতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামস মোহাম্মদ মামুন-এর নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করা হয় যে, তিনি নাকি ফোনে তাকে হুমকি দিয়েছিলেন। এতে আরও দাবি করা হয়, এই হামলার সাথে জড়িত পদস্থ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাদের গোপন পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র উন্মোচন করতে হবে।
পোস্টটিতে বলা হয়, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, পুলিশ-প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ভেতরে থাকা ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের’ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা না নিলে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ জীবন অনিরাপদ। সবশেষে, দল-মত নির্বিশেষে সকল ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।