
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। দলটি নূরের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, হামলায় জড়িতদের শাস্তি দেওয়া এবং ফ্যাসিবাদী শক্তির সহযোগীদের বিষয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের প্রারম্ভে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “নূরের স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। ফ্যাসিবাদের বিচার হলে কেন সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনা হবে না?”
মঞ্জু বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন থেকে জাতিকে বঞ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সমানভাবে দায়ী। তিনি বারবার জাতীয় পার্টির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও সরকার তা শোনেনি। তাই এখন থেকে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই এর জবাব দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “গণঅধিকারের অফিস পর্যন্ত ভাঙচুর হয়েছে, জাতীয় নেতাদের নৃশংসভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।” তিনি সরকারের কাছে কোনো টালবাহানা না করে সঠিক তদন্তের দাবি জানান এবং বলেন, “নূরের সর্বোত্তম চিকিৎসা রাষ্ট্রের খরচে নিশ্চিত করতে হবে এবং হামলায় জড়িতদের নাম প্রকাশ করে ৬ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আপনারা যদি হাসিনার মতো ডিল করতে চান, তবে পরিণতিও হবে ইয়াহিয়ার মতো।” একই সঙ্গে তিনি সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনীকে দেশপ্রেমিক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, “গত এক বছরে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে এমন নির্মমভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মারেনি। অথচ দিল্লির দাসদের অফিস পাহারা দেওয়া হয়, আর গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের পেটানো হয়।” তিনি আরও বলেন, ২৪ ঘণ্টা পার হলেও কাউকে বহিষ্কার করা হয়নি। তিনি জুলাইয়ের শক্তি নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে প্রস্তুত বলেও জানান।
প্রেসক্লাব থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি পল্টন মোড়, বিজয়নগর ও নাইটিঙ্গেল মোড় প্রদক্ষিণ করে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে একটি প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হয়।