নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে এবি পার্টির মতামত ও হতাশা প্রকাশ

নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে এবি পার্টির মতামত ও হতাশা প্রকাশ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, তা আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ইতিবাচকভাবে দেখেছে। তবে দলটি নির্বাচনী রোডম্যাপে জনআকাঙ্ক্ষার অভাবকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক, বলেন, “গণতন্ত্রের উন্নয়নের জন্য ঘোষিত রোডম্যাপকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা প্রথম থেকেই প্রফেসর ইউনুসের প্রতি আস্থাশীল ছিলাম। তবে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা না করে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে; আলোচনা হলে এটি আরও কার্যকর হতো।”

তিনি বলেন, নির্বাচনী রোডম্যাপে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, রাজনৈতিক দল ও দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনসহ ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকলেও ভোটার সচেতনতা এবং নির্বাচনী ব্যয়ভার সংক্রান্ত কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

ফুয়াদ আরও অভিযোগ করেন, জুলাইয়ের গণআন্দোলনে অংশ নেওয়া তরুণদের ভোটারের সুযোগ বিবেচনায় নিয়ে বয়স কমিয়ে ১৭ করার প্রস্তাব রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ভোটের দিন যাদের বয়স ১৭ বা ১৮ হবে, তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করা সহজ বিষয় হলেও তা করা হয়নি।

তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় কমন পোস্টার ও ফেস্টুন ব্যবহারের প্রস্তাব দিলে রাষ্ট্র কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারত। প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের বড় অংশ রাষ্ট্র বহন করলে কালো টাকার প্রভাবও কমত। এছাড়া বুথভিত্তিক ভোটের পরিবর্তে খোলা মাঠে ভোট আয়োজন করলে নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হত।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার ফুয়াদ অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন এখনও পুরনো পদ্ধতি অনুসরণ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং প্রশাসনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ সীমিত হওয়ায় জনগণের মধ্যে সংশয় বিরাজ করছে। তিনি বলেন, “গত ২৪ বছরে বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য কোনো নির্বাচন হয়নি এবং এখনও ভালো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার অভাব রয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সেলিম খান, যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা) শাজাহান ব্যাপারী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাইয়ান রসি, যুব পার্টির দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ রাসেল, যাত্রাবাড়ী থানার আহ্বায়ক সুলতান আরিফ, যুব নেত্রী ইশরাত জাহানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর অন্যান্য নেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *