
শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার কলম্বোর অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে রিমান্ডে নিয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি অনুরা কুমারা দিসানায়েকের কাছে পরাজিত হন।
দিসানায়েকে নেতৃত্বাধীন বামপন্থি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। সম্প্রতি কলম্বোর নিউ ম্যাগাজিন কারাগারে বিক্রমাসিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান বিরোধী দলের সংসদ সদস্য নালিন বান্দারা। তিনি জানান, সাবেক প্রেসিডেন্ট নতুন সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) মহাসচিব থালাথা আতুকোরালা বলেন, “সরকার বিক্রমাসিংহেকে ভয় পাচ্ছে কারণ তিনি আবারও ক্ষমতায় ফিরতে পারেন।”
অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিক্রমাসিংহে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে ব্যক্তিগত সফরে যান। যদিও তিনি দাবি করেছেন, তার স্ত্রীর সফরের খরচ নিজে বহন করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং আত্মসাতকৃত অর্থের তিনগুণ জরিমানা হতে পারে।
২০১৯–২০২২ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর বিক্রমাসিংহে দেশকে স্থিতিশীল করতে আন্তর্জাতিক ঋণ নিশ্চিত করে এবং জ্বালানি ভর্তুকি প্রত্যাহার করেন। তবে অনুরা কুমারা দিসানায়েকের সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতির দায়ে সাবেক দুই মন্ত্রীর সর্বোচ্চ ২৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে এবং রাজাপাকস পরিবারের বিরুদ্ধে বিচার চলছে।