
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হ্যাঙ্গারে অকশনের জন্য রাখা টায়ার গোপনভাবে বিক্রির অভিযোগে দুই কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন বিমানের ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার মো. আরমান হাসান ও স্টোর হেলপার সামছুল হক।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিইও ড. সাফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কর্মকর্তাদের বরখাস্তের আগে বিমান প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। একই সঙ্গে বিমানবন্দর থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে।
বিমান কর্মকর্তা এ বি এম রওশন কবীর জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া টায়ার বিক্রির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুই কর্মীকে চাকরি থেকে অবসান করা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রশাসন বলেছে, অনিয়মের সঙ্গে আপস হবে না এবং কর্মচারীরা আর কোনো অপরাধ করলে ছাড় পাবেন না।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় ১০টি ব্যবহৃত টায়ার অকশন শেড থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলামের কাছে এসব টায়ার হস্তান্তর করেছেন।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের বিমান সংখ্যার কারণে ব্যবহৃত টায়ার নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।