
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) একসাথে কাজ করছে। তিনি বলেন, এটি একটি বিস্তৃত ও সময়সাপেক্ষ কাজ, যা কয়েক বছর পর্যন্ত চলতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) বিশ্বের পাঁচটি দেশের সাতটি শহরে অনুসন্ধান চালিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে।
প্রেস সচিব আরও উল্লেখ করেন, এই সম্পদ উদ্ধারের ক্ষেত্রে অনেক আইনি জটিলতা রয়েছে। অনেকের সম্পদের অবস্থান প্রকাশ করা সম্ভব নয়, তবে কিছু সম্পদের খবর ব্রিটিশ পত্রিকায় এসেছে। সরকার প্রথমে খুঁজবে কোথায় সম্পদ আছে এবং তারপর সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সম্পদ ফ্রোজেন করা হবে। কিছু সম্পদ ইতিমধ্যেই ফ্রোজেন হয়েছে।
তিনি বলেন, যেহেতু এই অর্থ বিদেশে সম্পদে রূপান্তরিত হয়েছে, তাই তা বিক্রি করে পুরো টাকা ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। এটি একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া হলেও গুরুত্বের সঙ্গে কাজগুলি সম্পন্ন করা হচ্ছে।