
দেশের ১২১টি কারিগরি কলেজ এবং তিনটি মাদ্রাসায় ইন্টারনেট সেবা বাবদ প্রায় ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৭ আগস্টের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তৎকালীন সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম। বৈঠকের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দুটি শাখা থেকে ১৮ ও ১৯ আগস্টে আলাদা স্মারক জারি করা হয়।
বিটিসিএল ২০২০ সালে একটি প্রকল্পের আওতায় ১২১টি কারিগরি কলেজ ও তিনটি মাদ্রাসায় অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ, যন্ত্রপাতি ও ওয়াই-ফাই সুবিধা চালু করে। সমঝোতা অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথ দেওয়ার কথা ছিল। তবে আগস্ট ২০২১ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে প্রদত্ত সেবার বিপরীতে প্রায় ২ কোটি ৬১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বকেয়া জমে যায়।
এ বিষয়ে যাচাই করতে শিক্ষা বিভাগ গত ডিসেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি ঢাকা, নরসিংদী, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের ১২টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেয়।
বৈঠকে বিটিসিএলের কর্মকর্তারা জানান, তাদের সংযোগ সচল থাকলে স্বল্প খরচে মানসম্মত ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সম্ভব। তবে বকেয়া বিল পরিশোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন প্রয়োজন।
বৈঠকে নেওয়া মূল সিদ্ধান্তসমূহ
১. সংযোগ সচল থাকলে ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে বিল পরিশোধ করতে হবে বিদ্যমান হারে।
২. নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দুটি ব্রডব্যান্ড সংযোগ রাখতে হবে— একটি বিটিসিএল, অন্যটি বিকল্প (সরকারি/বেসরকারি)।
৩. কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের বাইরে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবে বিটিসিএল।
৪. বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিল সরাসরি তাদের কাছেই পাঠানো হবে।
৫. এপি ব্যবস্থার পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানের রাউটার বা লোকাল নেটওয়ার্কে সরাসরি ব্যান্ডউইথ সংযোগ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া জুন ২০২৫ পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠানে কতদিন সংযোগ সচল ছিল তার হালনাগাদ তথ্য বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতেই বকেয়া বিল নিষ্পত্তি করা হবে।