
ভারতের হায়দরাবাদে মানবপাচার চক্রের খপ্পরে পড়া এক বাংলাদেশি তরুণী পুলিশের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পাচারচক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ আগস্ট, যখন ওই তরুণী বান্দলাগুদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মেহদিপট্টনম এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আরও তিন তরুণীকে উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— হাজেরা বেগম, শাহনাজ ফাতিমা ও সমীর। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ছয় মাস ধরে ওই তরুণী পাচারচক্রের হাতে বন্দী ছিলেন। চাকরির প্রলোভনে সীমান্ত পেরিয়ে প্রথমে নৌকায় কলকাতায় আনা হয় এবং পরে ট্রেনে করে পাঠানো হয় হায়দরাবাদে। সেখানে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ভয় দেখিয়ে তাকে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করা হয়।
পুলিশের তথ্যানুসারে, উদ্ধার হওয়া তরুণীদের রেসকিউ হোমে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পাচারচক্রের আরও দুই সদস্য— রূপা ও সরোয়ার— এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা, এ চক্রটির মূল নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়েছে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে। দরিদ্র তরুণীদের টার্গেট করে প্রতারণার মাধ্যমে দেহ ব্যবসায় জড়ানোই তাদের মূল উদ্দেশ্য।