টানা দুই দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ধসে ঝুঁকিতে তিস্তা সেতু ও গ্রাম

টানা দুই দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ধসে ঝুঁকিতে তিস্তা সেতু ও গ্রাম

টানা দুই দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুরে তিস্তার দ্বিতীয় সংযোগ সেতুর পশ্চিম পাশের সুরক্ষা বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। এতে ৭০ ফুট গভীর একটি গর্ত তৈরি হওয়ায় লালমনিরহাট-রংপুর আঞ্চলিক সড়ক এবং আশপাশের তিনটি গ্রাম মারাত্মক ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগের দুই দফা বন্যায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এখন নদীতে পানি বাড়তেই হঠাৎ করে বাঁধের ব্লক ধসে এই বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে নদীতে পানির স্তর কিছুটা কমে এলেও স্রোতের তীব্রতা সরাসরি বাঁধের গায়ে আঘাত করছে, ফলে ভাঙন আরও বাড়ছে।

লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আগে দুইবার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আমরা সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখন যেভাবে স্রোত আঘাত করছে, উজানে সামান্য বৃষ্টি হলেই বাঁধ ভেঙে যাবে।” তিনি দ্রুত বাঁধ মেরামতের দাবি জানান।

প্রশাসনের বক্তব্য

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা জানিয়েছেন, মহিপুরে তিস্তা সেতুর পশ্চিম অংশের বাঁধে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম বলেন, তিন মাস আগে রংপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। এর পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানাতে পারবেন।

উল্লেখ্য, প্রায় ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিস্তার এই সেতুটি রংপুর-লালমনিরহাটের যোগাযোগ সহজ করেছে এবং উত্তরাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *