‘মানসিক অবসাদে’ তিন মাস কাজ করেননি নুসরাত ফারিয়া

'মানসিক অবসাদে' তিন মাস কাজ করেননি নুসরাত ফারিয়া

দীর্ঘ ১০ বছরের প্রেমের সম্পর্কের ইতি টেনে ২০২০ সালে বাগদান ভেঙেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তগুলোর একটি। এই সিদ্ধান্তের পর তিনি মানসিক অবসাদে ভুগেছেন এবং এখনও ওষুধ খাচ্ছেন।

২০২০ সালের মার্চ মাসে প্রেমিক রনি রিয়াদ রশিদের সঙ্গে ধুমধাম করে বাগদান সেরেছিলেন ফারিয়া। কিন্তু কিছুদিন পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। সেই সময় ফারিয়া লিখেছিলেন, “আমরা তিন বছর আগে বাগদানের ঘোষণা করেছিলাম। অনেক ভেবে আমি ও রনি আমাদের ৯ বছরের সম্পর্কের ইতি টানছি। আমাদের মধ্যে যে বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব ছিল, তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”

অভিনেত্রীর ভাষায়, “মা-বাবা আর রনি—এই ছিল আমার পৃথিবী। ওকে ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারতাম না। ছোটবেলা থেকে আমাদের সম্পর্ক। একসঙ্গে থাকা, সময় কাটানো—এসবের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। তাই রনির সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত আমার কাছে বড় বিষয় ছিল।”

প্রায় চার বছর ধরে বিষয়টি প্রকাশ করার সাহস জোগাড় করছিলেন তিনি। ফারিয়া বলেন, “১০ বছর অনেক বড় সময়। এত দিনের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে মনের জোর লাগে। কীভাবে বলব বুঝতে পারছিলাম না। রনি জানতে চেয়েছিল একসঙ্গে থাকতে চাই কি না, কিন্তু আমাদের সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ ছিল না।”

সম্পর্ক ভাঙার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন নুসরাত ফারিয়া। সেই অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মানসিক অবসাদের জন্য তিন মাস কাজ করিনি। এখনও অবসাদ কাটানোর জন্য ওষুধ খাচ্ছি। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”

সম্প্রতি এক বিতর্কিত কারণে একদিনের জন্য জেল হেফাজতেও থাকতে হয়েছিল নুসরাত ফারিয়াকে। তবে বর্তমানে তিনি ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *