
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) রবিবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৬ জন ভোটার, যা নিয়ে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনে।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, সারাদেশের সব নির্বাচনী অফিসে একযোগে এই হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভোটার তালিকায় বাড়তি ভোটার অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি মৃত বা অযোগ্য ভোটারদের নামও বাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “আইন অনুযায়ী ২ মার্চ আমরা প্রথম ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিলাম, তখন ভোটার সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এই হালনাগাদ কার্যক্রমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জনকে নতুন ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জন মৃত বা অযোগ্য ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”
৩১ আগস্ট চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে। এছাড়া আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যেসব ব্যক্তি ১৮ বছর পূর্ণ করবেন, তারাও ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে পারবেন। নতুন আইনে নবীন ভোটারদের জন্য এক বছরের অপেক্ষার বাধা অপসারণ করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, ২০২৫ সালে মোট তিনবার ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে — ২ মার্চ, ৩১ আগস্ট এবং ৩১ অক্টোবর।
রোববার সকালেই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর নির্বাচনী কর্মকর্তারা তালিকা সংশ্লিষ্ট স্থানে সাঁটিয়ে দিয়েছেন। ভোটাররা যদি কোনো ভুল দেখতে পান, তাহলে ২১ আগস্ট পর্যন্ত সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন। সংশোধন কাজ শেষ করে ২৪ আগস্টের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে।
এরপর অন্যান্য প্রস্তুতি শেষে ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এই প্রস্তুতি জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হচ্ছে, যাতে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ভোটার তালিকা নিশ্চিত করা যায়।