আবু সাঈদ হত্যার ভিডিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (AI) তৈরি : হাসিনার আইনজীবী

আবু সাঈদ হত্যার ভিডিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (AI) তৈরি : হাসিনার আইনজীবী

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ আগস্ট।

বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ এই কার্যক্রম চলে। স্বল্প সময়ের জন্য মধ্যবর্তী বিরতিও ছিল। এই দিনে দুইজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে তাদের জবানবন্দি প্রদান করেন। তাদের মধ্যে একজন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিনা মুরমু এবং অপরজন এনটিভির রংপুর প্রতিনিধি একেএম মঈনুল হক।

তারা ২০২৪ সালের ১৬ জুলাইয়ে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন তাদের জেরা করেন। জেরার সময় আইনজীবী দাবি করেন যে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি। এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে সাক্ষীরা । সাক্ষীরা দাবি করেছেন ভিডিওটি সত্য, অর্থাৎ ভিডিও ফুটেজটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বানানো হয়নি।

মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচজন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এর আগে ৪ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান ও দিনমজুর পারভীন, যিনি চোখ হারান। তারা শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্টদের দায়ী করে সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন।

প্রথম সাক্ষ্য দেন আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ। তার সাক্ষ্যও আগের দিনগুলোতে গ্রহণ ও জেরা করা হয়।

এই মামলায় অভিযুক্ত তিনজন হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে রাজসাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করেছে।

গত ১০ জুলাই এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল এবং সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয় ৩ আগস্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *