
সম্প্রতি ‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকায় “বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরের ‘র’ নেটওয়ার্ক ফাঁস” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক প্রতিবাদ লিপিতে জানিয়েছে, উক্ত প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তব তথ্যের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, বিমান বাহিনীর ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা—এয়ার ভাইস মার্শাল এম এ আউয়াল হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুল সাঈদ, এয়ার কমডোর মোহাম্মদ আমিনুল হক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শামীম ও উইং কমান্ডার সাইয়েদ মোহাম্মদ—বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
আইএসপিআর এই দাবিকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে জানায়, উক্ত কর্মকর্তারা প্রচলিত বিধি অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবে চাকরির মেয়াদ শেষে অবসর গ্রহণ করেছেন। একই ধরনের তথ্য দেওয়া হয়েছে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিফাত আশরাফী ও তাহসিফ সুরির ক্ষেত্রেও। তারাও আইন অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং কোনো গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয়।
প্রতিবাদ লিপিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের প্রতিবেদন শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছে না, বরং জাতীয় নিরাপত্তা ও সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক।
আইএসপিআর সব গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানিয়েছে, বিমান বাহিনী সংক্রান্ত তথ্য প্রচারের আগে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করার মাধ্যমে তথ্য যাচাই করে নেওয়ার।