
২৭ আগস্ট ভারতের হাড়্দোয়ারে শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ হকি। তবে রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ এখনও নিশ্চিত নয়। পাকিস্তান না খেললে এএইচএফ কাপে তৃতীয় হওয়া বাংলাদেশের সামনে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি জানানো হয়। অনূর্ধ্ব-২১ দলের জন্য ডাচ কোচ আনার ঘোষণা দিতে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে সাংবাদিকরা এশিয়া কাপ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক (অবসরপ্রাপ্ত) লে. কর্নেল রিয়াজুল হাসান বলেন, “এখনো পাকাপাকি কিছু জানানো হয়নি। তবে আমরা গতকাল (২ আগস্ট) এশিয়ান হকি ফেডারেশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছি। এই সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের জানাতে বলেছি। না হলে প্রস্তুতি ও ভিসার কারণে আমাদের পক্ষে অংশগ্রহণ সম্ভব হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের ভিসা পেতে সময় লাগে। তার ওপর টুর্নামেন্টে খেলার আগে প্রস্তুতি দরকার। এই সপ্তাহের মধ্যে নিশ্চিত না হলে দুইটিই কঠিন হয়ে যাবে।”
পাকিস্তান হকি ফেডারেশন এখনও ভারত ভ্রমণের জন্য সরকার থেকে অনুমতিপত্র পায়নি। পাকিস্তানের এক ক্রীড়া সাংবাদিক সূত্রে জানা গেছে, দেশটির সরকার অনুমতি না দিলে ভারত সফর অসম্ভব হয়ে পড়বে। আর অনুমতি পেলেও ভারত ভিসা দেবে কিনা বা কবে দেবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
এশিয়া কাপ হকি এশিয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ের টুর্নামেন্ট, যেখানে বাংলাদেশ ১৯৮২ সাল থেকে অংশ নিয়ে আসছে। ১৯৮৫ ও ২০১৭ সালে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টের আয়োজকও ছিল। আগের সময়গুলোতে বাংলাদেশ সরাসরি খেললেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়ায় এএইচএফ কাপে ভালো করতে হয় এশিয়া কাপে ওঠার জন্য।
চলতি বছরে বাংলাদেশ এএইচএফ কাপে সেমিফাইনালে ওমানের কাছে হেরে ফাইনালে উঠতে না পারলেও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জয় পাওয়ায় পাকিস্তান না খেললে সুযোগ পেতে পারে।
এই সম্ভাব্য অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতির জন্য সময় ও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত জরুরি বলে মনে করছে হকি ফেডারেশন।