
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের ত্যাগ কখনোই বৃথা যাবে না। তিনি আরও বলেন, যদি বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়, তাহলে এই শহীদদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করা হবে।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (আইইবি) অনুষ্ঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে শহীদ পরিবারের সম্মাননা ও আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সর্বদা দলের কর্মীদের জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানান। শহীদদের আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরকাল অমর থাকবে এবং তারা সবাই দলের প্রেরণার উৎস।
তিনি ২০২৪ সালের আন্দোলনের স্মৃতি শেয়ার করে বলেন, ১৯ জুলাই গ্রেপ্তার হওয়া সত্ত্বেও তারা আন্দোলন থেকে সরে আসেনি। অন্যদিকে, কোটা আন্দোলনে যুক্ত অনেকেই স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে আপস করে গেছে, যার ফল তাদের বর্তমান অবস্থান।
নতুন মুখোশে পুরোনো অপশক্তি পুনরুত্থানের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহীদদের রক্তের ধারালো স্মৃতি ভুলে তারা আবার ক্ষমতার মোহে বিভ্রান্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে জনগণ আজ সচেতন, তারা আর এ ধরনের বিভ্রান্তিতে পড়বে না।
নির্বাচন পেছানোর উদ্দেশ্যে সংস্কারের নামে ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার জন্য নতুন নাটক সাজানো হচ্ছে, অথচ ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই তারেক রহমান ২৭ দফা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন যা বাস্তবায়িত হওয়া প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার পুরোপুরি নির্মূল হয়নি, যদিও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে এগোনো হয়েছে। এখন সময় এসেছে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করার এবং স্বৈরাচারী সরকারের অবৈধ মন্ত্রী ও এমপিদের বিচার করার।
আবারও তারেক রহমানের প্রতি আস্থা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে যারা শহীদ হয়েছেন, বিশেষ করে ২০২৪ সালের শহীদ পরিবারের পাশে তিনি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। কেউ যেন এই পরিবারগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে না পারে। শহীদ পরিবারের যন্ত্রণাকে শুধু তারা বুঝতে পারে, তাই তাদের আত্মত্যাগের মূল্য দিতে হবে নির্বাচনের মাধ্যমে, বিচারের মাধ্যমে এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির মাধ্যমে।