
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৪৪টি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের জন্য নির্ধারিত সময় শেষ হচ্ছে আগামী রোববার (৪ আগস্ট)। ওই দিন বিকেল ৫টার মধ্যে দলগুলোর সব প্রয়োজনীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, ২২ জুন পর্যন্ত ১৪৭টি আবেদন জমা পড়েছিল, যার মধ্যে ১৪৪টি দল ছিল যারা নিবন্ধন পেতে আগ্রহী। কিন্তু প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, একটি দলও ইসির নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এ কারণে ইসি সবাইকে ১৫ দিনের সময় দিয়ে ঘাটতি পূরণের নির্দেশ দেয়। সেই সময়সীমার শেষ দিন পড়ছে রোববার।
নিবন্ধনের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টির বেশি উপজেলা কমিটি থাকতে হয়। প্রতিটি কমিটিতে থাকতে হয় কমপক্ষে ২০০ জন ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ। এছাড়া, কোনো দলের সদস্য যদি অতীতে সংসদ সদস্য হয়ে থাকেন কিংবা আগের কোনো নির্বাচনে কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ ভোট পেয়ে থাকেন, তবে সেটিও একটি যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রক্রিয়াগতভাবে ইসি প্রথমে দলগুলোর আবেদন যাচাই করে প্রাথমিকভাবে। এরপর মাঠপর্যায়ের তদন্ত শেষে বাছাই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয় এবং একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দাবি-আপত্তি আহ্বান করা হয়। কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দল নিবন্ধন সনদ পায়। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজেদের প্রতীক ব্যবহার করে নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে দেশে দলীয় নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল নিবন্ধিত হলেও বিভিন্ন কারণে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়—এর মধ্যে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা। সম্প্রতি আদালতের রায় অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তবে জাগপার ব্যাপারে এখনো কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।