
শনিবার (২ আগস্ট) পাবনা শহরের বনমালী ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক দায়িত্বশীল সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, “কোরআনবিরোধী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের অধীনে আমাদের প্রথম সারির নেতাদের বিনা অপরাধে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পান না বলেই এই আন্দোলনকে দমন করা যায়নি।”
তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের রক্তের বদলা নিতে হবে। মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সর্বশক্তি দিয়ে। ইনশাআল্লাহ, আগামীতে ইসলামী শক্তিই রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “তিনি বলতেন তারা কখনো পালান না। অথচ আজ তিনিই ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু আমরা পালাইনি, ফাঁসির মঞ্চেও গেছি হাসিমুখে।”
ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য চরিত্র ও আচার-আচরণের গুরুত্ব তুলে ধরে এটিএম আজহার বলেন, “শুধু স্লোগানে ইসলাম কায়েম হয় না। রাসুলের (সা.) আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে হবে। আমাদের নেতারা জীবন্ত কোরআনের প্রতীক ছিলেন।”
তিনি প্রয়াত মাওলানা আব্দুস সোবহান সম্পর্কে বলেন, “তিনি তৃণমূল থেকে উঠে আসা এক নেতা, যিনি একাধারে ইউপি সদস্য ও পাঁচবারের এমপি ছিলেন। কিন্তু তার মাঝে অহংকার ছিল না। নিজের জীবনে কোনো সম্পদ অর্জনের চেষ্টা করেননি, বরং পাবনার বুকে বহু সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে গেছেন।”
এদিন এটিএম আজহার সপরিবারে পাবনার সাঁথিয়ায় যান। সেখানে তিনি তার শ্বশুরের কবর, শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর কবর এবং মাওলানা আব্দুস সোবহানের কবর জিয়ারত করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মো. ইকবাল হোসাইন। আরও বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, ব্যারিস্টার নাজীবুর রহমান মোমেন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম খান, মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান, ও অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খান প্রমুখ।