
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন বহাল রেখে সাধারণ নির্বাচনে নারী প্রার্থীর সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে কমিশন এই সংশোধিত প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ স্বাক্ষরের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৭ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে। পরবর্তী (১৪তম) জাতীয় নির্বাচনে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে হবে। এরপর প্রতিটি সাধারণ নির্বাচনে নারী প্রার্থীর মনোনয়ন ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে এবং শেষ পর্যন্ত ১০০টি নারী আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ তৈরি হবে।
কমিশন জানায়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫-এর দফা (৩) সংশোধনীর মাধ্যমে বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন বহাল থাকবে এবং ২০৪৩ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত আসনের মেয়াদ কার্যকর থাকবে। তবে চতুর্দশ জাতীয় সংসদের পর এই আসনগুলো ধীরে ধীরে সরাসরি নির্বাচনে রূপান্তরিত করা হবে।
এর আগে বিএনপি প্রস্তাব করেছিল বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রাখার পাশাপাশি পরবর্তী নির্বাচনে ৫ শতাংশ এবং ১৪তম নির্বাচনে ১০ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার। অন্যদিকে জামায়াত ও ধর্মভিত্তিক দলগুলো সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নারী প্রার্থী নির্বাচনের প্রস্তাব করেছিল।
প্রস্তাবের প্রধান দিকগুলো:
- ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন বহাল থাকবে
- পরবর্তী নির্বাচনে ৭% আসনে নারী প্রার্থী
- ১৪তম নির্বাচনে ১৫% আসনে নারী প্রার্থী
- ধাপে ধাপে এই সংখ্যা ১০০ আসনে উন্নীত করা হবে