
জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি গণঅধিকার পরিষদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন স্থগিতের দাবিকে আমলে নিচ্ছে না। দলটি বলেছে, ফ্যাসিস্টদের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টিকে অভিযুক্ত করার অভিযোগ অগ্রহণযোগ্য।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পর জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যদি অপরাধ হয়, তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণের দায়ে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনসহ আরও ৩১টি দলের নিবন্ধনও বাতিল হওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টি আরপিওর সব শর্ত মেনেই নিবন্ধন পেয়েছে। শুধুমাত্র আইনি শর্ত ভঙ্গ করলে নিবন্ধন বাতিল হতে পারে, কিন্তু দলটি কোনো আইন ভঙ্গ করেনি।
আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হলে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে এখন পর্যন্ত তেমন পরিবেশ তৈরি হয়নি।”
সরকার কোনো বিশেষ দলকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় তারা পক্ষপাতহীন কিনা তা এখনই বলা যাবে না।
এর আগে রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসি সচিব আখতার আহমেদের দপ্তরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়। ২০২৪ সালের হিসাবে জাতীয় পার্টির মোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪ টাকা। দলের উদ্ধৃত অর্থ রয়েছে ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৪ টাকা।
প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য খলিলুর রহমান খলিল ও নুরুজ্জামান এবং দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম।