
ঢাকায় নবনিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ জাফের বিন আবিয়াহ রবিবার স্টেট গেস্ট হাউস যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা নব নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্বভার গ্রহণের জন্য উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তার আমলে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। তিনি সৌদি আরবের সরকারের সহযোগিতার অঙ্গীকারও জানান।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্কের গভীরতা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিভিন্ন সেক্টরে সহযোগিতা বাড়িয়ে এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।” তিনি প্রস্তাব করেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের ভূ-পোশাক শিল্প, সস্তা শ্রম ও দেশীয় সম্পদ ব্যবহার করে উৎপাদন খাত প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে।
এছাড়া তেল শোধনাগার, স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি সহ শক্তি খাতে সৌদি বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্কের কথা তুলে ধরে জানান, সৌদি বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলো রেড সী গেটওয়ে টার্মিনাল, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে সক্রিয় রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সৌদি সরকার বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে একটি আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট ও আটটি মসজিদ নির্মাণের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।
অক্টোবর মাসে রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফোরামের নবম বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য সৌদি ক্রাউন প্রিন্স এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী উভয়ের আমন্ত্রণ পত্রও তিনি প্রধান উপদেষ্টার হাতে হস্তান্তর করেন।
বিশেষ এই দিনে, বাংলাদেশ-সৌদি আরবের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে প্রধান উপদেষ্টা সৌদি রাষ্ট্রদূতকে গ্রাফিটি সংগ্রহ উপহার দেন।
এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ ও অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।