
বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ সংক্রান্ত বিআরটিএর অভিযানের প্রতিবাদে বাংলাদেশ পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ আট দফা দাবি জানিয়েছে। এসব দাবি আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে মেনে না নেওয়া হলে ১২ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে ১৫ আগস্ট সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সব বাণিজ্যিক পরিবহন বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
রোববার (২৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরিবহন মালিকদের ৮ দফা দাবি:
- সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৯৮ ও ১০৫ ধারাসহ সুপারিশকৃত অন্যান্য ধারাসমূহ সংশোধন।
- ইকোনমিক লাইফ ২০/২৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা এবং সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পুরাতন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিত রাখা।
- দ্বিগুণ অগ্রিম আয়কর (প্রিজাম্পটিভ ইনকাম ট্যাক্স) কমিয়ে পূর্বের হারে ফেরানো।
- মেয়াদোত্তীর্ণ যান সরানোর জন্য রিকন্ডিশনড যানবাহন আমদানির সময়সীমা ৫ থেকে ১২ বছর করা।
- দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি থানায় আটক হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালিকের জিম্মায় দেওয়ার বিধান চালু।
- মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের জন্য স্ক্র্যাপ নীতিমালা প্রণয়ন।
- মহাসড়কে তিন চাকার যান ও অনুমোদনহীন হালকা যানবাহনের জন্য পৃথক লেন নির্ধারণ।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নবায়ন দ্রুত প্রদান এবং শ্রমিক ফেডারেশনের ১২ দফা দাবি বাস্তবায়ন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, “সড়ক পথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রাখতে আমাদের এই ১৫ দিন সময়সীমা। দাবি না মানা হলে বাধ্য হয়ে ধর্মঘট ডাকা হবে।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খানসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।