
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অফিস স্থাপন করা বাংলাদেশের জন্য স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে হুমকি স্বরূপ হবে। তিনি উল্লেখ করেন, যেসব দেশে এই অফিস রয়েছে, সেসব দেশের অধিকাংশই অস্থিতিশীল, যেমন ফিলিস্তিন ও সিরিয়া। তবু সেখানে এই কমিশন কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেনি। অন্যদিকে, ভারতের মতো দেশে যেখানে সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন চলছে, সেখানে জাতিসংঘের এই অফিস স্থাপন হয়নি। পাশাপাশি, মায়ানমারেও মানবাধিকার লঙ্ঘন চলছে, তবু সেখানে অফিস স্থাপনের সুযোগ হয়নি।
ড. কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ মুসলিম জনগণ সমকামিতা ও LGBTQ বিরোধী। কিন্তু জাতিসংঘের এই কমিটি সমকামিতা ও LGBTQ প্রচার করে যা দেশের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের বিরুদ্ধাচরণ। তাই তিনি অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই চুক্তি বাতিল করার আহ্বান জানান।
আজ ইসলামী যুব মজলিস আয়োজিত “ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপন: হুমকি ও বাস্তবতা” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে ইসলামী যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি তাওহীদ ইসলাম তুহিন সভাপতিত্ব করেন। ইসলামী যুব মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোহাইল আহমদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন সাদী, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী, আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: শায়খুল ইসলাম এবং গবেষক আসাদ পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে খেলাফত মজলিস ও ইসলামী যুব মজলিসের আরও বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও উপস্থিত ছিলেন।