
জুলাই আন্দোলনের শহীদ ছাত্রদের স্মরণে ছাত্রদলের আয়োজিত স্মরণসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদেশের সকল মহান অর্জন বিএনপির হাতেই হয়েছে।
তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যিনি ঘোষণা করেছেন, তিনি আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমানের অবদান অপরিসীম।” তিনি আরো বলেন, “বাকশাল বন্ধ করে সংবাদপত্রকে স্বাধীন করেছেন তিনি, যা বঙ্গবন্ধু সরকারের তুলনায় বিপুল অগ্রগতি ছিল।”
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি হলো গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক। তিনি দলীয় কর্মীদের ধৈর্যধারণ ও শান্তিপূর্ণ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা উত্তেজিত হবো না, প্ররোচিত হবো না। নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারিতে হবে।”
তিনি সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচারের অভিযোগ আনেন। বলেন, “২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ৬০ লাখ মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৬ বছর কারাগারে রাখা হয়েছে। তবে এসব প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বিএনপি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে।”
স্মরণসভায় বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বক্তব্য দেন।
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৪২ জন শহীদ রয়েছে, যা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ১৭৬ জন শহীদের পর দ্বিতীয় বৃহৎ আন্দোলন।”
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, “১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত গায়েবানা জানাজায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে অংশ নেয়। নিহত শহীদ আবু সাঈদ ও ওয়াসিম আকরামের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ছাত্রদল সর্বদা সম্মান প্রদর্শন করবে।”
স্মরণসভায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।