নির্বাচন পর্যন্ত যৌথ বাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন: নুরুল হক নুর

নির্বাচন পর্যন্ত যৌথ বাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন: নুরুল হক নুর

চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস দমনে যৌথ বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো একদিকে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলছে, অন্যদিকে দলীয় পরিচয়ে অপরাধীদের রক্ষা করছে।

রোববার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নুর বলেন, “আমরা দেখছি, কোনো দলই প্রকাশ্যে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিকে সমর্থন করছে না। কিন্তু যখন কোনো অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়, তখন সেই দলের নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করে তাকে ছাড়িয়ে আনে। এটা দ্বিচারিতা।”

তিনি প্রস্তাব করেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত যৌথ বাহিনীকে বিশেষ করে শিল্পাঞ্চল এলাকায় মোতায়েন রাখা যেতে পারে। যৌথ বাহিনী যদি নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায়, তবে এই অপরাধ দমন সম্ভব।”

নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে নুরুল হক নুর বলেন, “বর্তমানে জনপ্রতিনিধির শূন্যতা স্থানীয় প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবের মধ্যে ফেলেছে। ইউএনওদের নিয়ে দলগুলো টানাটানি করছে। যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হয়, তাহলে প্রশাসনিক ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারের পতনের পর কেউ ভেবেছিল, বড় ধরনের সহিংসতা হবে। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছিল, পাঁচ লাখ লাশ পড়বে। কিন্তু পাঁচশো জনও মারা যায়নি। মানুষ সহিষ্ণুতা দেখিয়েছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া বড় কিছু ঘটেনি। আমরা মিলেমিশে বসবাস করি, এটাই বাংলাদেশের শক্তি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *