
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান তিন দিনব্যাপী শুল্ক আলোচনা বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে পৌঁছায়। এদিন আলোচনা শেষ হওয়ার পর উভয় দেশের প্রতিনিধিরা কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালেও, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মীমাংসা এখনো বাকি রয়েছে।
দ্বিতীয় দিনের আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন ও মার্কিন ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাম্বাসাডর জ্যামিসন গ্রিয়ারের মধ্যে একান্ত বৈঠক। সকাল ১১টায় গ্রিয়ারের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চলমান শুল্ক আলোচনার পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আন্তরিক আলোচনা হয়।
গ্রিয়ারের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশের সামগ্রিক বাণিজ্য পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি আমদানিও বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইতোমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুল্ক বিষয়ে বাংলাদেশ ন্যায্যতা প্রত্যাশা করে এবং চায় পরিবেশটি যেন বাংলাদেশের জন্য প্রতিযোগিতামূলক থাকে।
এ সময় মার্কিন প্রতিনিধি জ্যামিসন গ্রিয়ার বাংলাদেশের অবস্থান অনুধাবন করেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি ট্রাম্প প্রশাসনে মন্ত্রী পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন, ফলে এই বৈঠককে আলোচনার এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তায়েব, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী এবং সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও ইউএসটিআর, কৃষি, শ্রম, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ, কোষাগার, উদ্ভাবন ও মেধাস্বত্ব এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ নেন।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই তিন দিনের শুল্ক আলোচনা আগামীকাল শুক্রবার শেষ হবে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে চূড়ান্ত দিনের আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। উভয় পক্ষই অংশীদারিত্বমূলক বাণিজ্যের জন্য একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।