
শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলের চার নম্বর উইকেটে গড় স্কোর যেখানে ১৮০, সেখানে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ থামে মাত্র ১৫৪ রানে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো সূচনা পেলেও, মাঝের ধাপে ব্যর্থতায় ব্যাটিং ইনিংস গতি হারায়। জবাবে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে থাকা লঙ্কানরা ১ ওভার হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হয় তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমনের ওপেনিং জুটিতে। পাঁচ ওভারে ৪৬ রান যোগ করে তারা দলকে ভালো শুরু এনে দেন। তবে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন পারভেজ ইমন (২২ বলে, ৫ চার, ১ ছক্কা)। নাঈম শেখ করেন ২৯ বলে ৩২ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ২৩ বলে ২৯ রান। শেষদিকে শামীম পাটোয়ারির ৫ বলে ১২ রানে বাংলাদেশ ১৫৪ রানে পৌঁছায়।
লঙ্কানদের হয়ে থিকসানা নেন ২ উইকেট, আর ভ্যান্ডারসে, তুষারা ও শানাকা নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে। ওপেনার নিশাঙ্কা মাত্র ১৬ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, মারেন ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। কুশল মেন্ডিস খেলেন ৫১ বলে ম্যাচ জেতানো ৭৩ রানের ইনিংস। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান।
বাংলাদেশের পেসাররা ব্যর্থ হলেও স্পিনার মেহেদী মিরাজ ও রিশাদ হোসেন কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বল করেন। তারা দুজনই ৪ ওভার করে ২৪ রান দিয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন।
শেষ পর্যন্ত ব্যাটে-বলে শ্রীলঙ্কা আধিপত্য বিস্তার করে ৭ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।