
হোয়াইট হাউসে এক নৈশভোজকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়নের বিতর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে পুনরায় আলোচনা করেছেন। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই পরিকল্পনার প্রতি আবারও ইঙ্গিত দেন, যা বিশ্বজুড়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
নেতানিয়াহু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিছু দেশ মিলে এমন উদ্যোগ নিচ্ছে যাতে গাজার মানুষ চাইলে অন্যত্র চলে যেতে পারে। তার ভাষায়, গাজা যেন কারাগার না হয়ে খোলা জায়গা হয়। অন্যদিকে ট্রাম্প দাবি করেন, আশপাশের দেশগুলো থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা একে ‘স্বেচ্ছা দেশত্যাগের নামে জাতিগত নিধন’ বলছেন। সাবেক কূটনীতিক অ্যালন পিনকাস মনে করেন, এসব আলোচনার বাস্তব ভিত্তি খুব দুর্বল এবং এতে ভবিষ্যতের শান্তিচুক্তি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
এই বৈঠকের সময় কাতারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা চলছিল। হামাস ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার সাপেক্ষে বন্দিমুক্তির প্রস্তাব দিলেও নেতানিয়াহু বলছেন, আত্মসমর্পণ ছাড়া যুদ্ধ থামবে না।
বৈঠকের একপর্যায়ে নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন চিঠি দেন। এতে ট্রাম্প খুশি প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি আরও জানান, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শিগগির শুরু হতে পারে।