
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীর ওপর সংঘটিত পাশবিক নির্যাতনের ঘটনার পেছনে ছিল পারিবারিক শত্রুতা। বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ছোট ভাইই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এই ঘটনায় জড়িত শাহ পরানকে কুমিল্লার কাবিলা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শাহ পরান তাঁর বড় ভাই ফজর আলীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। ফজর আলী আগেই ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন।
র্যাব জানায়, দুই মাস আগে পারিবারিক বিরোধের জেরে একটি গ্রাম্য সালিসে ফজর আলী তাঁর ভাই শাহ পরানকে চড়থাপ্পড় মারেন। এই অপমানের প্রতিশোধ নিতে শাহ পরান পরিকল্পনা করতে থাকেন।
ঘটনার দিন (২৬ জুন) ওই নারী একা ঘরে ছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফজর আলী কৌশলে তাঁর ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই একই গ্রামের আরও ৮ থেকে ১০ জন—including আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, ও রমজান—ঘরে ঢুকে নারীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করে। তারা মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। পরে শাহ পরান সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
র্যাব জানায়, শাহ পরান আবুল কালামদের আগেই প্ররোচিত করেন, যাদের সঙ্গে ফজর আলীর পূর্বশত্রুতা ছিল। পরিকল্পিতভাবে তারা ঘটনার আগেই ওই বাড়ির আশপাশে অবস্থান নেয়।
এ ঘটনার পর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরদিন ২৭ জুন ভুক্তভোগী নারী মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহ পরান স্বীকার করেছেন যে ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই তিনি এমন নৃশংস পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন।
গ্রেপ্তারকৃত শাহ পরানকে বর্তমানে মুরাদনগর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব-১১।