
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় এক চাঞ্চল্যকর হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় হারিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় রোববার দুপুরে বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, মুকুলকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ বলে অভিযুক্ত করে একদল লোক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার পরনের পাঞ্জাবি ও পায়জামা টেনে ছিঁড়ে ফেলে। ভিডিওতে দেখা যায়, তার গায়ে শুধু অন্তর্বাস ছিল, এবং এক ব্যক্তি তাকে রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছিল। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বিএনপি কর্মী মোস্তাক আহমেদের ভাষ্য মতে, মুকুল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরনো টাওয়ার পরিবর্তনের কাজে ঠিকাদার হিসেবে গিয়েছিলেন। সেখানে পৌঁছানোর পরই স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালানো হয়।
মুকুল দাবি করেন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি বজলুর রহমান ওরফে ‘ডন বজলু’র নেতৃত্বে তার ওপর এ হামলা হয়। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বজলু এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে এবং টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে তার ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়।
এদিকে, ঠিকাদার হাজী আলাউদ্দিন অভিযোগ করেন, কাজ পাওয়ার পর বজলু ও তার অনুসারীরা তাদের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। চাঁদা না দেওয়ায় এ হামলা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় আগেই লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মুকুলকে আওয়ামী লীগপন্থী বলে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী জানিয়েছেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।