
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এক যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। এতে চারজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ২২ জুন রাত ৮টার দিকে কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেনের অনুসারী সন্ত্রাসীরা পালাতে চাইলে সেনাবাহিনীর টহল দল তাদের ধাওয়া করে। সন্ত্রাসীরা পার্শ্ববর্তী গাদিয়ালা গ্রামে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালিয়ে তাদের প্রতিহত করে।
পরে তল্লাশিতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মো. আবু সাঈদ (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চারজন সন্ত্রাসী — তাজউদ্দীন, আমির উদ্দিন, হিরণ মিয়া ও জমির মিয়া — কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি একনলা বন্দুক, চারটি পাইপ গান, এক রাউন্ড তাজা গুলি, ছয়টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

অভিযান শেষ হয় আজ সকাল সাড়ে ৮টায়। আটককৃত সন্ত্রাসী ও উদ্ধারকৃত সরঞ্জামাদি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহের ময়নাতদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। কোনো আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড দেখলে স্থানীয় সেনা ক্যাম্প অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।