
বাংলাদেশের স্কাউটদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “স্কাউটিংয়ের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের পৃথিবী গড়ার পথে এগিয়ে যেতে হবে।”

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বাংলাদেশ স্কাউটস আয়োজিত দেশব্যাপী কাব কার্নিভাল ও শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আজকের দিনটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্ব স্কাউটিং ইতিহাসেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের আটজন স্কাউট দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন—এমন আত্মত্যাগ বিশ্ব স্কাউটিংয়ে বিরল। এ অর্জন পুরো জাতির গর্ব।”
তিনি উপস্থিত কাব স্কাউটদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমাদের দায়িত্ব হচ্ছে অন্যদের জন্য পথ খুলে দেওয়া। তোমরা নিজে যখন এগিয়ে এসেছ, তখন তোমাদের কর্তব্য হলো বাকিদের হাত ধরে এগিয়ে নেওয়া। কেউ যদি দরজা বন্ধ পায়, তাহলে তোমাদেরই দরজা খুলতে হবে।”
নিজের ছাত্রজীবনের স্মৃতি স্মরণ করে ড. ইউনূস জানান, ১৯৫৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বয় স্কাউট হিসেবে কানাডায় অনুষ্ঠিত দশম বিশ্ব জাম্বুরিতে অংশ নিয়েছিলেন এবং ইউরোপ ও আমেরিকা ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি বলেন, “এটি ছিল নিজের ভেতরের শক্তি ও বিশ্বকে আবিষ্কারের এক বিরল সুযোগ।”
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ স্কাউটস প্রোগ্রাম বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবার সারাদেশে একযোগে ৫২৭টি স্থানে কাব কার্নিভাল ও শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৪৯৫টি উপজেলা, ৫টি মেট্রোপলিটন, ৫টি উপএলাকা ও ২২টি বিশেষ জেলা।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা দেশের কাব স্কাউটদের সর্বোচ্চ সম্মান “শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড” ও “গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড” প্রদান করেন। জুলাই আন্দোলনে শহীদ আট স্কাউটের বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তিনি ‘গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেন।
পুরস্কার গ্রহণ করেন—স্কাউটার মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, রোভার রোহান আহমেদ খান, রোভার তাঞ্জির খান মুন্না, স্কাউট শরিফ উদ্দিন আহমেদ আহনাফ, স্কাউট মাহবুব আলম, স্কাউট গোলাম নাফিজ, স্কাউট তাহির জামান প্রিয় ও স্কাউট আরিফুল ইসলাম সাদ-এর পরিবারের সদস্যরা।