গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো “কমনওয়েলথ চার্টার কর্মশালা”-এর উদ্বোধন, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। কমনওয়েলথ ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় রাজধানীসহ আশপাশের জেলা থেকে প্রায় এক শতাধিক যুবক ও যুব মহিলা অংশগ্রহণ করেন।
উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেন, কমনওয়েলথ চার্টার হলো গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুশাসন ও আইনের শাসনের প্রতি ৫৬টি দেশের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতি। এই সনদকে তিনি একটি নৈতিক দিকনির্দেশনা হিসেবে উল্লেখ করেন যা বিশ্বের প্রায় ২.৫ বিলিয়ন মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, তরুণরা যদি এই সনদের অন্তর্নিহিত মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণে সক্রিয় ভূমিকা নেয়, তবে তারা দেশের জাতি গঠন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। উপদেষ্টা সকল অংশগ্রহণকারীকে উৎসাহ দেন যেন তারা মতামত প্রদান, ভাবনার জট খুলে ব্যবহারিক সুপারিশ উপস্থাপন করে।
এছাড়াও তিনি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে বলেন, “গত ১৬ বছরে দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে এখন পর্যন্ত ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে ১২১টি সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি জানান, জুলাই সনদ নামে একটি জাতীয় ঐকমত্যভিত্তিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র ও উন্নয়নের রূপরেখা নির্ধারণে সহায়ক হবে।
“আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রশ্নে কখনো আপস করা হবে না,” — বলেন উপদেষ্টা।