
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা তাদের চলমান অবরোধ কর্মসূচি শনিবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় সাময়িকভাবে স্থগিত করলেও দাবি আদায়ে চাপ অব্যাহত রেখেছেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না করে, তবে রোববার (২২ জুন) সকাল ১০টা থেকে অনশন এবং ১১টা থেকে দেশব্যাপী ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু হবে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকে প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একাধিক দফায় বৈঠক চলছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি রাত ৮টার মধ্যে বহিষ্কারের আদেশ এবং সংশ্লিষ্ট বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলো প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক নোটিশ না দেয়, তবে কর্মসূচি আরও কঠোর হবে।
শিক্ষার্থীরা একটি বিবৃতিতে বলেছেন, “আমাদের এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। এটি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং একটি সুষ্ঠু শিক্ষাব্যবস্থার দাবিতে। আমরা চাই প্রশাসন শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিক।”
তারা আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যেন গণতান্ত্রিক চর্চা এবং শিক্ষার মুক্ত আবহে পরিচালিত হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। মতপ্রকাশে বাধা, শিক্ষার্থী বহিষ্কার ও প্রশাসনিক অনিয়ম আমরা মেনে নেব না।”
এর আগে কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীরা ইউআইইউ প্রশাসনের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে ছিলেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ—নির্বিচারে বহিষ্কার, মতপ্রকাশে বাধা ও প্রশাসনিক অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই পটভূমিতে শিক্ষার্থীরা স্বচ্ছ তদন্ত এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন।
শনিবারের অবরোধ কর্মসূচি ছিল আন্দোলনের অংশ হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তবে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়ে সাময়িকভাবে অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।