
রাজধানীর আদাবরের রামচন্দ্রপুর খালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শেষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, “খাল রক্ষা শুধুমাত্র একটি সরকারি কার্যক্রম নয়, এটি নাগরিক দায়িত্ব। স্থানীয় জনগণ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।”
আজ সকাল ১০টায় দুই দিনব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযানের সমাপনী দিনে তিনি এই মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তারা খালের পাড় ঘুরে দেখেন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের উৎসাহিত করেন।
প্রশাসক বলেন, “নগরের খালগুলো আমাদের পরিবেশ, জলপ্রবাহ এবং বসবাসযোগ্যতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শুধু ময়লা পরিষ্কার করলেই হবে না—দূষণ রোধ, সৌন্দর্যবর্ধন এবং নাগরিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি টেকসই ব্যবস্থাপনা তৈরি করতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “সিটি কর্পোরেশন একা কিছু করতে পারবে না। যদি জনগণ সম্পৃক্ত না হয়, তবে খালগুলো আবারও দূষিত হবে। তাই প্রতিটি এলাকায় এই ধরনের জনসচেতনতা ও অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম সম্প্রসারণ করবো।”
অভিযানে অংশ নিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে এবং জনসচেতনতা বাড়াতে এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।”
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে খালের পাড়ে ওয়াকওয়ে রং করা, ডাস্টবিন বসানো এবং সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফুটস্টেপ, পরিচালনায় রয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও ডিএনসিসি। সহায়তায় রয়েছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
প্রায় ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক ও ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা কর্মী অংশ নেন অভিযানে। স্থানীয় বাসিন্দারাও অংশগ্রহণ করে এই উদ্যোগকে সফল করে তোলেন।
ডিএনসিসি আশা করে, এই যৌথ কার্যক্রম রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন ও টেকসই নগর হিসেবে গড়ে তুলবে।