
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এবং ইসলামী বিপ্লবের পথপ্রদর্শক আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্প্রতি একটি টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ইরানি জাতি আরোপিত যুদ্ধের বিরুদ্ধে যেমন দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, ঠিক তেমনি আরোপিত শান্তির বিরুদ্ধেও তারা অটল রয়েছে। তিনি বলেন, এই জাতি কখনোই অন্যায় শক্তির সামনে মাথা নত করবে না বা আত্মসমর্পণ করবে না।
খামেনি বলেন, ইরানের জনগণ বর্তমানে ইহুদিবাদী শাসনের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় যে সাহসিকতা, মর্যাদা এবং সময়োপযোগী প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেছে, তা জাতির পরিপক্কতা, যৌক্তিকতা এবং আধ্যাত্মিকতার পরিচায়ক। তিনি এই ঘটনার প্রশংসা করেছেন এবং এটিকে জাতির ঐক্য ও দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক হুমকি এবং হাস্যকর মন্তব্যের প্রতি খামেনি কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “যারা ইরানের ইতিহাস ও এর জনগণের প্রকৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখে, তারা জানে যে এই জাতিকে হুমকি দিয়ে সম্বোধন করা অর্থহীন। ইরানি জাতি কখনোই দমন ও ভয়ের কাছে মাথা নত করবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমেরিকানদের উচিত বুঝতে যে, যে কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ ইরানের বিরুদ্ধে নিঃসন্দেহে অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে।” খামেনির ভাষায়, এই হুমকি ও সামরিক আগ্রাসনের ফলাফল শুধু ইরানেই নয়, পুরো অঞ্চলেই মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
এই ভাষণে খামেনি ইরানের স্থিতিশীলতা ও আত্মনির্ভরতার বার্তা দিয়েছেন, যেখানে তিনি জনগণের ঐক্য ও দৃঢ়তা তুলে ধরেছেন। তিনি বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, ইরানের জনগণ তার মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্র এবং অস্ত্র উৎপাদন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এতে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আয়াতুল্লাহ খামেনির এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক গুরুত্ব পায়।