
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থির পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইরানের উপর সাম্প্রতিক ইসরায়েলি আক্রমণ। এই হামলার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এই আলাপচারিতায় যুবরাজ হামলাটিকে আন্তর্জাতিক আইন ও নৈতিকতা লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, ‘‘ইরানের ভূখণ্ডে এমন হামলা শুধু দেশটির সার্বভৌমত্বে আঘাতই নয়, বরং গোটা অঞ্চলের কূটনৈতিক স্থিতি নষ্ট করে। এতে পারমাণবিক আলোচনা ও শান্তিপূর্ণ সমঝোতার পথও কঠিন হয়ে যায়।’’
ইরান-সৌদি আরবের মধ্যে ২০২৩ সালে পুনঃস্থাপিত কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এই ফোনালাপকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, “আমার প্রশাসনের অন্যতম লক্ষ্যই হলো আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখা। কিন্তু কিছু রাষ্ট্র এই প্রচেষ্টা প্রতিনিয়ত নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে।”
উল্লেখ্য, ইরান ও সৌদি আরব দীর্ঘ দিন ধরে পারস্পরিক দ্বন্দ্বে জড়ালেও সম্প্রতি চীন-সমর্থিত মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন শুরু হয়। এই ঘটনাপ্রবাহের পর ইরান-সৌদি সমঝোতার ভবিষ্যৎ কোন পথে গড়াবে, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।