
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাজ্যের সেক্রেটারি অব স্টেট ফর বিজনেস অ্যান্ড ট্রেড এবং ট্রেড বোর্ডের চেয়ারম্যান জোনাথন রেনল্ডস। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনে।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন, বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, এবং পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়। উভয় পক্ষই বাংলাদেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগ বাড়ানোর কৌশল এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগ, বিশেষ করে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানিয়েছে। রেনল্ডস এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতের উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা এবং বৃহৎ অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সরকার সক্রিয় রয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন:
- জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান
- প্রধান উপদেষ্টা লুৎফে সিদ্দিকি
- এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ
- যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের বাণিজ্য দূত ব্যারনেস রোজি উইন্টারটন
- বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক
সভায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) শুরুর প্রস্তাব দেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই জাপানসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে FTA নিয়ে আলোচনা করছে।
এই বৈঠককে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।