
পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে যেখানে মুসলিম বিশ্ব উৎসবে মেতে উঠেছে, সেখানে গাজা ছিল রক্ত আর ধ্বংসের চিত্রপটে। ঈদের সকালে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর ধারাবাহিক হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৮ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানান, জাবালিয়ার একটি এলাকায় চালানো হামলায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আল-জাজিরা আরও জানায়, বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে মৃত্যুর সংখ্যা ৪২ ছাড়িয়ে গেছে।
এছাড়া রাফাহর পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে, যেখানে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র অবস্থিত, সেখানে গোলাবর্ষণের ঘটনায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন’ ঘোষণা করেছে, তারা ঈদের দিন সকল ত্রাণ কার্যক্রম স্থগিত রাখবে। এ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন এখন পর্যন্ত ১১০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষ।
গাজার মানুষের জন্য এটি টানা দ্বিতীয় ঈদ, যা কাটছে যুদ্ধ ও ধ্বংসের ভয়াল ছায়ায়। অনেক বাবা-মা তাঁদের মৃত সন্তানদের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে ভেঙে পড়েছেন কান্নায়। উম্মে আহমদ আউয়িদা বলেন, “আমরা কিছুই আর অবশিষ্ট রাখিনি। ঘরবাড়ি, সন্তান সব হারিয়েছি। ঈদের আনন্দ নয়, বরং প্রতিবার মৃত্যু আর ধ্বংসকে সঙ্গী করে দিন পার করছি।”