মোঃ আল আমিন রনি
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শুক্রবার (৬ জুন) চাঁদপুরের অর্ধশতাধিক গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবারসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে আগাম ঈদ উদযাপন করতে দেখা যায়। সাদ্রা দরবার মাঠে ঈদের প্রথম জামাতের ঈমামতি করেন দরবারের পির জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি। অপরদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসায় সকাল ৮টায় নামাজের ঈমামতি করেন সাদ্রা দরবারের পির মাওলানা আরিফ চৌধুরী।
যেসব গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন হয়েছে – হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলাসহ অর্ধশত গ্রাম।
আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ১৯২৮ সালে আগাম রোজা রাখাসহ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালনের নিয়ম চালু করেন সাদ্রা দরবারের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইসহাক চৌধুরী। প্রায় ৯৬ বছর আগে এ প্রথা চালু হয়। আর এখন অর্ধশত গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।
মাওলানা আরিফ চৌধুরী বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকি। এ উপলক্ষে কোরবানির পশু ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।