
আগামী ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে গৃহীত হয়েছে সুসংহত ও দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা—এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, এনডিসি।
শুক্রবার (৬ জুন ২০২৫) সকাল ১১টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “ঢাকায় ১১৭টি ঈদগাহ এবং ১৬২১টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি জামাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে।”
ডিএমপি কমিশনার জানান, জাতীয় ঈদগাহ ময়দান সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্তসংখ্যক পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। মাঠজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর, ওয়াচ টাওয়ারসহ আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম। মাঠ ও আশপাশের এলাকা সুইপিংয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে।

বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
- ঈদগাহে প্রবেশের প্রধান তিনটি রাস্তায় (মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট) থাকবে চেকপোস্ট।
- মুসল্লিদের ব্যাগ, ধারালো বস্তু ও দাহ্য পদার্থ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
- প্রবেশে আর্চওয়ে ও ম্যানুয়াল তল্লাশির মাধ্যমে চেকপোস্ট পার হতে হবে।
- নারী মুসল্লিদের জন্য পৃথক নামাজের স্থান ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
সন্দেহজনক কিছু মনে হলে তাৎক্ষণিকভাবে ৯৯৯ নম্বরে জানাতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তল্লাশির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার অনুরোধও জানান ডিএমপি কমিশনার।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “এবারের ঈদ ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই।” একইসঙ্গে তিনি ঢাকাবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে নির্দেশনা:
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার জানান, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের আশপাশে চারটি পয়েন্টে সকাল ৬টা থেকে জামাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যান চলাচলে ডাইভারশন থাকবে। পার্কিং ও বিকল্প রুট ব্যবস্থাও থাকবে যাতে মুসল্লিদের যাতায়াতে অসুবিধা না হয়।
উপস্থিত ছিলেন:
ডিএমপির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ।