গাজীপুরের কাপাসিয়ার বরহর আ. মজিদ মোল্লা বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় দুই সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে এমপিও স্থগিত করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। তাদের ইনডেক্স নম্বরও বাতিল করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন:
- ছালমা খাতুন (ইনডেক্স: এম০০৫৩৩৯৩)
- তাহমিনা আক্তার (ইনডেক্স: এম০০৫৪২৪৫)
সম্প্রতি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ শাখা থেকে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে জানানো হয়, এনটিআরসিএর সরবরাহ করা সনদ ও সুপারিশপত্র ভুয়া এবং জাল প্রমাণিত হওয়ায় তাদের এমপিও বাতিল এবং ইনডেক্স কর্তন করা হয়েছে।
মাদ্রাসা এমপিও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী গঠিত এমপিও বাছাই ও অনুমোদন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এদিকে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের জাল সনদসহ আবেদন পেলে সংশ্লিষ্ট প্রধানের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্তদের ইতোমধ্যে উত্তোলিত সকল বেতন ও ভাতা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে বিস্তারিত তথ্যসহ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্টদের আগামী ৪ জুনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ও মেধা তালিকার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে থাকে। তবে সম্প্রতি কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাল সনদ ও ভুয়া সুপারিশপত্র জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। কর্তৃপক্ষ এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছে।