টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের অংশে আত্রাই নদীর বাঁধ মঙ্গলবার সকালে ভেঙে পড়ে। এতে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে নতুন করে প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মাত্র কয়েক মাস আগেই এই বাঁধ মেরামত করা হয়েছিল, কিন্তু পানির চাপ সামলাতে না পেরে ফের ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।
আত্রাই নদী বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে পরে আবার বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়। নদীর এমন গতিপথের কারণে উভয় দেশের সীমান্ত এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব পড়ে। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের রাবার ড্যামের কারণে পানির স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, ফলে তাদের অংশে ক্ষতি হচ্ছে।
গত বছর থেকে ভারত তাদের অংশে ছোট পরিসরে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম দফায় বাঁধটি ভেঙে যায়। এরপর জারোশোর এলাকায় মেরামতের কাজ চলছিল। মঙ্গলবার সেই অংশ পুনরায় ধসে পড়ে।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই যদি এভাবে বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে মূল বর্ষায় এর ভয়াবহতা আরও বাড়বে এবং গ্রামগুলো পানিতে ডুবে যাবে।
প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ড্যাম নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ড্যাম নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেন, “বাড়ি তৈরির মানের রড ব্যবহার করে ড্যাম বানানো হয়েছে—এটা চরম দুর্নীতি।”
অন্যদিকে বালুরঘাট মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, “এটি প্রকৃতির সৃষ্টি দুর্যোগ। বিজেপি নিজের ঘরের দুর্নীতিগুলো আগে দেখুক।”
বাঁধ ভেঙে পড়ার ফলে নদীপারের হাজারো পরিবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। তারা দ্রুত সংস্কার, সুরক্ষা ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো পরিষ্কার আশ্বাস না মেলায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।